top of page
  • Writer's pictureNews Bangla

স্বপ্নের সোনার ফসল ইরি ধান কাটার ধুম পড়েছে

পরেশ দেবনাথ।।  কেশবপুর উপজেলার মঙ্গলকোট ও বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়নে স্বপ্নের সোনার ফসল ইরি ধান কাটার ধুম পড়েছে। আমাদের দেশের বেশির ভাগ মানুষ কৃষিজীবি। কৃষি কাজ করে জিবীকা নির্বাহ করেন। যশোরের কেশবপুর উপজেলার ১১ টি ইউনিয়নের মত এ দু’টি ইউনিয়নের মাঠে মাঠে এখন কৃষকের সোনালী স্বপ্ন বাতাসে দোল খাচ্ছে‌। মাঠ জুড়ে শোভা পাচ্ছে সোনালী ধানের শীষ। সোনালী ধানের শীষে ভরে উঠেছে মাঠ। সেই সাথে রঙিন হয়ে উঠছে চাষীদের স্বপ্ন।

মাঠ জুড়ে এখন সোনালী স্বপ্নে ছড়াছড়ি। দেশের সকল উচু নিচু জমিতে এসময়ে ইরি ধানের চাষ করা হয় । এখন ধান কাটার মৌসুম। প্রচুর পরিমান ধান হওয়াই কৃষকরা দারুন খুশি। সবাই এখন ধান কেটে ঘরে তোলা নিয়ে দারুন ব্যস্ততার মধ্যে সময় পার করছেন।

উপজেলার মঙ্গলকোট ইউনিয়নের মাগুরখালী গ্রামের কৃষক সোহেল পারভেজ জানান, গত বছরের থেকে এবার ইরি ধানের ফলন অনেক ভালো। আল্লাহর রহমতে যদি ধান কেটে ঘরে তোলার আগে শিলা বৃষ্টি না হয় তাহলে সকল কৃষক বেশ লাভবান হবেন। কৃষক সার, উন্নত জাতের বীজ, বিদ্যুৎ সঠিকমত পাচ্ছেন। ফলে আমাদের দেশের কৃষকদের শান্তিতে রাখতে পারলে দেশও কৃষিতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা লাভ করবে।

উপ কৃষি সহায়ক কর্মকর্তা পরিতোষ কুমার দাস জানান, এবার মঙ্গলকোট ইউনিয়নে গত বছরের তুলনায় ফলন বেশি হবে। রোগবালাইও এবার খুব কম। এ ইউনিয়নে কৃষকদের চাহিদা এবং যথেষ্ট সহযোগিতা দান করা হয়।

বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহবায়ক বি এম ইব্রাহিম হোসেন জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কৃষকের ভর্তুকি, সার, বীজ, বিদ্যুৎ, যাতায়াত ব্যবস্থা, কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শের অভাব নেই ফলে কৃষিতে বিপ্লব ঘটবে। কৃষক সুখে-শান্তিতে থাকলে দেশে খাদ্যোন্নয়ন ঘটবে। এটাই সকলের প্রত্যাশা থাকা উচিৎ।

বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়নের কৃষক মহিতোষ ঘোষ জানান, ধান কিভাব তাড়াতাড়ি বাড়ীতে আনতে পারবো সেইটা চিন্তা করছি। আমি আট বিঘা জমিতে ধান লাগিয়েছি। এবার ফলন ভাল হয়েছে। কৃষকের এই রৌদ্রে প্রচুর কষ্ট হলেও মনে শান্তি আছে। উপর ওয়ালা যেন তাড়াতাড়ি ঝড়-বৃষ্টি না দেন।

বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন বলেন, এবার আমার ইউনিয়নে ধানের উৎপাদন বেশি হবে। কৃষকরা ধান কাটা শুরু করেছে। গত বছর করোনার কারণে ধান কাটার জন্য শ্রমিক সংকট থাকার ফলে শিক্ষক, যুবলীগ, ছাত্রলীগের ছেলেরা কৃষকদের সহযোগিতা করেছিলেন কিন্তু এবার দেখছি করোনার অধিক চাপ থাকা সত্বেও কৃষক যেন মনের আনন্দে ধান কেটেই যাচ্ছেন। আমার এলাকাসহ সকল এলাকার কৃষক এভাবে মনের আনন্দে থাকুক কামনা করি।

বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি গোপাল চন্দ্র চৌধূরী জানান, আগে আমাদের দেশে এত ধান উৎপাদন হতো না। উন্নত জাতের বীজ লাগানোর ফলে বাংলাদেশ কৃষিতে দিন দিন উন্নতি লাভ করছে। শুধু তাই নয়, কৃষি যন্ত্রপাতি ব্যবহারের ফলে উৎপাদনের তুলনায় শ্রমিক সংখ্যাও কম লাগছে। সরকার ধান কাটা, ঝাড়াসহ বস্তাবন্দী করার জন্য কৃষি যন্ত্রপাতি ভর্তুকির মাধ্যমে বিক্রি করছেন। ফলে কৃষক বিভিন্ন সুযোগসুবিধা পাচ্ছেন। আামার ইউনিয়নসহ দেশের কৃষকরা দিন দিন ভাল ফসল ফলাক কামনা করি।

1 view0 comments
Post: Blog2_Post
bottom of page