top of page
  • Writer's pictureNews Bangla

ষড়যন্ত্র এখনো থেমে নেই সাংবাদিক শাহীনের বিরুদ্ধে

সাংবাদিক শাহীন কে বিজিবি’র দেয়া এক বোতল ফেন্সিডিলে বিক্রির উদ্দেশ্যে উদ্ধার মামলায় বিচারিক আদালত তার জব্ধকৃত মোবাইল ফোন, নগদ অর্থ ও মোটরসাইকেলটির মালিকানা যাচাইয়ের নির্দেশনা দিয়ে সদর থানা পুলিশকে দ্রুত প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের নির্দেশনা দিয়েছেন। পুলিশ আজ বুধবার মোটরসাইকেলের মালিকানা যাচাইয়ের জন্য বিআরটিএ লালমনিরহাট দপ্তরের সহকারি পরিচালক বরাবর আবেদন পত্র দিয়েছে। এটাকে লালমনিরহাট জেলায় কর্মরত সাংবাদিকগণ দ্বিতীয় বিজয় বলছেন।

এদিকে বিক্রির উদ্ধেশ্যে এক বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধারের মিথ্যা মামলায় বিজিবি’র ষড়যন্ত্র এখনো থেমে নেই। তার বেসরকারি কলেজ করোনাকালীণ লক ডাইনের কারণে সরকারি ছুটিতে বন্ধ রয়েছে। করোনার জন্য সারা দেশের সকল ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। মহিষখোচা স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ সারওয়ার আলম জানান, সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম শাহীন সুর্দীঢ় প্রায় ১৮ বছর ধরে তার কলেজে কর্মরত রয়েছেন। তিনি কখনো তার বিরুদ্ধে কোন সমাজ বিরোধী কর্মকান্ডের কথা শুনেননি। বরং তিনি সাংবাদিকতা পেশায় থাকায় এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিজ উদেগ্যে একুশে পদক প্রাপ্ত সদ্য প্রয়াত দানবীর আল হাজ্ব আবুল হাসেম সাহেবের নামে এখানে আলহাজ্ব আবুল হাসেম বৃত্তিতহবিল নামে একটি বৃত্তি চালু করেন। সেখানে ৫০ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেয়া হত। এই তহবিল এই প্রতিষ্ঠানের অন্য শিক্ষকদের মাধ্যমে কমিি কওে পরিচালিত হয়ে আসছিল। পত্রিকার রির্পোট পড়ে শুনেছি তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মাদক মামলা বিজিবি দিয়েছে। তার মোটরসাইকেললে ফিটিং অবস্থায় এক বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার দেখানো হয়েছে। সাংবাদিক শাহীন সেই দিনেই জামিনে মুক্ত রয়েছেন। তাঁকে ফোন করে তার এমপিও বাতিল ও কিধরণের ব্যবস্থা নিয়েছেন ফোনে জানতে চায়। এমন কি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বড়বড় কর্মকর্তাদের পরিচয় দিয়ে ফোন করা হচ্ছে। এই সব বিষয় রহস্যের সৃষ্টি করছে। এখনো ষড়যন্ত্র থেমে নেই। সে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একজন ভাল মনের মানুষ হিসেবে অত্যন্ত জনপ্রিয়। সহকর্মীদের সাথেও তার সুহ্ণদয় পূর্ণসম্পর্ক। অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন শিক্ষক।

লালমনিরহাট প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ আহমেদুর রহমান মকুল জানান, আদালতের মাধ্যমে ফোন, অর্থ ও মোটরসাইকেল জিম্মার চাওয়া হয়েছে। এতে কওে আদালত মালিকানা যাচাইয়ের জন্য পুলিশকে নির্দেশনা দিয়েছে। এটা সাংবাদিক সমাজের দ্বিতীয় দফা বিজয়। তিনি বলেন, সাংবাদিক শাহীনকে ১৬ এপ্রিল রাতে নির্যাতন ও ষড়যন্ত্রের মামলাটি সম্পর্কে সুষ্ঠু তদন্তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি। সেই সাথে এই ষড়যন্ত্র গোটা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সংবাদকর্মীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। ষড়যন্ত্রকারী বর্ণচোরাদের মুখোশ উম্মুচোনের দাবি উঠেছে। একই সাথে সাংবাদিক শাহীনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এখনো থেমে নেই। ছায়া শক্রুর সাথে লড়াই করতে গিয়ে মহাবিপাকে সাংবাদিকের পরিবার। বিভিন্ন মহল হতে পরিবারকে চুপ থাকতে পরামর্শ দিয়ে সুকৌশলে হুমকি দিচ্ছে। শাহীনকে লালমনিরহাট ছেড়ে অন্যত্র গোপনে কয়েক দিনের জন্য চলে যেতে তোড়জোড় ও ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। তার ফোন কল সমস্ত রেকর্ড করা হচ্ছে বলে প্রচ্ছন্ন হুমকি দেয়া হচ্ছে। তার পরিবারকে হয়রানির হুমকি দিচ্ছে বিজিবি’র কথা বলে নানা ধরণের মানুষ। এমন বলা হচ্ছে আইনশৃংখলাবাহিনীর বিরুদ্ধে লেগে কি হবে। দেখেনি সাংবাদিক নির্যাতন হলে কি হয়। হুম হলে কি হয়। মেওে ফেলেই বা কি হয়। তাকেও হুম করা হলে কার কি কিন্তু পরিবার ও তার স্ত্রী সন্তানের যে ক্ষতি হবে তার পূরণ কিভাবে হবে। বিজিবি একটি শক্তিশালী বাহিনী তার বিরুদ্ধে না যাওয়াই ভাল। গুম খুন এই দেশে কয়টির বিচার হয়েছে। সসাংবাদিক শাহীন ও তার পরিবার দাবি করেছেন, কোন ব্যক্তির অপরাধ তার প্রতিষ্ঠান বা বাহিনী কেন দায় নিতে যাবে। সাংবাদিক শাহীন ও তার পরিবার বিজিবি’র মত একটি দেশপ্রেমিক বাহিনীর বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই। যে সীমান্তবাহিনীর জন্ম মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে সেই বাহিনীর প্রতি সাংবাদিক শাহীন ও তার পরিবারের বিন্দুমাত্র কোন অভিযোগ নেই। দুই একজন ব্যক্তি মানুষের অপরাধ কখনো বাহিনীর অপরাধ নয়।

এদিকে ১৫ বিজিবি’র কুলাঘাট বিশেষ বিওপি ক্যাম্পসহ এই ক্যাম্প হতে প্রায় ১৫/২০ কিলোমিটার দূরে ১৫ বিজিবিে অধিনে গোরক মন্ডল বিওপি ক্যাম্পটির সকল বিজিবি সদস্যকে পরিবর্তন করে নতুন সদস্য ডিপুট করা হয়েছে। দুই দিন ধওে বিজিবি’র ১৫ হেড কোয়াটারে নতুন নতুন বেশ কয়েকটি গাড়ি যাওয়া আসা করতে দেখা গেছে। বিজিবি’র ঢাকাস্থ একটি প্রতিনিধ টিম মাঠে পর্যায়ে তদন্তে কাজ করছে বলে জানান গেছে। মস্থানীয় সাংবাদিক গণ গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। সূত্র-জনকণ্ঠ।

0 views0 comments
Post: Blog2_Post
bottom of page